বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম
এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের মহাজন পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে চল্লিশ এর দশকে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইমাজ উদ্দীন আহম্মেদ এবং মাতার নাম কবিজান নেছা। ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্র লীগের তৎকালীন সময়ে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ৬ ছয় দফা এবং সর্বোপরি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং একাধারে রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং ডাকসুর সহ-সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন ছিলেন। ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে পঞ্চগড় থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৬নং সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে তেঁতুলিয়াকে মুক্তাঞ্চলের তীর্থভূমি হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করান।বঙ্গবন্ধুর ২য় বিপ্লব কর্মসূচীর ডাকে সাড়া দিয়ে বাকশালের ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হন। এ ছাড়াও তিনি একাধিকবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ১ম আর্ন্তজাতিক সম্পাদক হিসেবে মূল্যবান দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে ২রা জুন মৃত্যুকালীন পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার কর্মসূচী বাস্তবায়নে নিয়োজিত ছিলেন।
৬নং সেক্টরের অর্ন্তগত ৬ এ সাব সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বে- সামরিক উপদেষ্টা হিসাবে দাযিত্ব পালন করে তদানিন্তন প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ সদস্যএ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম। বে সামরিক উপদেষ্টা এ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম,
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস